1. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি
ভিক্ষুদের এই সম্মেলনটি রাজগৃহের সপ্তপর্ণী গুহায় অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে 500 জন যোগ দেন।
এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন স্থবির মহাকাশ্যপ। এই সভা বা সঙ্গীতিতে বুদ্ধদেবের উপদেশাবলী
সংকলিত হয় সূত্র পিটকে ও বিনয় পিঠকে।
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
২. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি
বুদ্ধদেবের প্রয়াণের 100 বছর পর মগধরাজ কালাশোক বা কাকবর্নীর উদ্যোগে বৈশালীতে দ্বিতীয়
বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি তে সভাপতিত্ব করেন মহাস্থবির যশ। এই
সম্মেলনে 700 জন ভিক্ষু যোগ দিয়েছিলেন। এ সময় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এই দুটি দলে
বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন।
প্রাচ্য দল বৌদ্ধ সংঘের নিয়মকানুন গুলিকে কিছুটা শিথিল করতে চেয়েছিলেন। রক্ষণশীল পাশ্চাত্য
দল তার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। দ্বিতীয় সংগীতি প্রাচ্য দলের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় প্রাচ্য দলের
ভিক্ষুরা সংগীতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বৈশালীর কাছে একটি সভা করেন। এর নাম মহাসংগীতি।এতে
যোগদানকারী ভিক্ষুরা মহাসংঘিক বলে পরিচিত হন। ও পাশ্চাত্য দলের বিক্ষোভ এর নাম হয়
স্থবিরবাদী বা থেরবাদী।
৩. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি
বৌদ্ধ সংঘে ঐক্য ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে মৌর্য সম্রাট অশোক মুদগলী পুত্র বিশ্বের পরামর্শে
পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এটি বৌদ্ধভিক্ষুদের বিভেদ দূর করতে ব্যর্থ হয়।
এই সংগীত ইতে অভিধর্ম পিটক গ্রন্থ রচিত হয়। এই সংগীতির পর তিশ্য ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব
এশিয়ার নানাস্থানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারকদের প্রেরণ করেছিলেন।
৪. চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি
কুষাণ সম্রাট প্রথম কনিষ্কের রাজত্বকালে কাশ্মীরের কোন্দল বিহারে বা জলন্ধরের কুবন বিহারে
চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতিটি অনুষ্ঠিত হয়। তিব্বতী ঐতিহাসিক তারানাথ এর মতে রক্ষণশীল ও
উদারপন্থীদের মতবাদ- উভয়কেই বৈধ বলে মেনে নেয় এই সংগীতি। এই সঙ্গীতি তে পৌরহিত্য
করেন দার্শনিক বসুমিত্র। এর সহ-সভাপতি ছিলেন প্রখ্যাত দার্শনিক ও কবি অশ্বঘোষ। এই
সংগীতি ১৮টি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পারস্পরিক বিরোধ দূর করতে সমর্থ হয়।