বিবাহ
বৈদিক যুগে বিভিন্ন প্রকার বিবাহ প্রথার কথা জানা যায় । সে সময় সমাজে বিবাহের বিভিন্ন প্রথাগুলি প্রাচীন আনেক শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে । ধর্মসুত্র গ্রন্থাদিতে আট রকমের বিবাহের উল্লেখ আছে । এগুলি হল- ব্রাহ্ম , দৈব , আর্ষ , প্রজাপত্য , আসুর ,গান্ধর্ব , রাক্ষস , ও পৈশাচ ।
এই বিবাহগুলির পদ্ধতি অনুযায়ি এদের এমন নামকরণ করা হয়েছে । তবে দেখে নেওয়া যাক এই বিবাহ গুলি কেমন ছিল ।
আরো পড়ুন......
এই বিবাহগুলির পদ্ধতি অনুযায়ি এদের এমন নামকরণ করা হয়েছে । তবে দেখে নেওয়া যাক এই বিবাহ গুলি কেমন ছিল ।
ব্রাহ্ম বিবাহ
পিতা বা অভিভাবক যখন বস্ত্র ও অলংকার দিয়ে সাজিয়ে কন্যাকে বিদ্বান ও চরিত্রবান পাত্রের হাতে সমর্পণ করতেন, তখন তাকে বলা হয় ব্রাহ্ম বিবাহ ।
দৈব বিবাহ
যজ্ঞের অনুষ্ঠান কালে পুরহিতকে সালংকরা কন্যা দানের নাম দৈব বিবাহ
আর্ষ বিবাহ
পিতা যখন বরের কাছথেকে একটি গরু ও একটি বলদ অথবা দুই জোরা বলদ গ্রহণ করে কন্যাকে পাত্রস্থ করতেন তখন সে বিবাহ কে আর্ষ বিবাহ বলা হত ।
পিতা যখন বরের কাছথেকে একটি গরু ও একটি বলদ অথবা দুই জোরা বলদ গ্রহণ করে কন্যাকে পাত্রস্থ করতেন তখন সে বিবাহ কে আর্ষ বিবাহ বলা হত ।
প্রাজপত্য বিবাহ
"তোমরা দুজনে গার্হস্থ ধর্ম পালন করো " এই শুভকামনা জানিয়ে পিতা বা অভিভাবক বরের হাতে কন্যাকে সমর্পণ করলে তা হতো প্রাজপত্য বিবাহ ।
"তোমরা দুজনে গার্হস্থ ধর্ম পালন করো " এই শুভকামনা জানিয়ে পিতা বা অভিভাবক বরের হাতে কন্যাকে সমর্পণ করলে তা হতো প্রাজপত্য বিবাহ ।
আসুর বিবাহ
আসুর বিবাহে পিতা বা অভিভাবক উপহার বা অর্থের বিনিময়ে মেয়েকে অসমপাত্রে বিবাহ দেন । এক্ষেত্রে কন্যোর বিনা অনুমতিতে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় ।
আসুর বিবাহে পিতা বা অভিভাবক উপহার বা অর্থের বিনিময়ে মেয়েকে অসমপাত্রে বিবাহ দেন । এক্ষেত্রে কন্যোর বিনা অনুমতিতে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় ।
গান্ধর্ব বিবাহ
কন্যা ও বর উভয়ে পরস্পরকে ভালবেসে যে বিবাহ করেন তার নাম গান্ধর্ব বিবাহ ।
রাক্ষস বিবাহ
কন্যাকে গায়ের জোরে হরণ করে যে বিবাহ তার নাম রাক্ষস বিবাহ ।
পৈশাচ বিবাহ
নিদ্রিত, পানাসক্ত বা বিকৃতমনস্ক কন্যাকে নিয়ে গিয়ে নির্জনে গমনের নাম পৈশাচ বিবাহ ।
আরো পড়ুন......