আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ সময় কাল বৈদিক যুগ বা আর্য সভ্যতা ধরা হয় । আর্য সভ্যতাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় (১) ঋক বৈদিক যুগ বা আদি বৈদিক যুগ ( আনুমানিক ১৫০০-১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ) এবং (২) পরবর্তী বৈদিক যুগ ( আনুমানিক ১০০০-৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ )
আর্য সভ্যতার বৈদিক সাহিত্য সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- বেদ ৪ টি ঋক , সাম , যদু , ও অথর্ব বেদ
- প্রাচীনতম বেদ হল ঋক বেদ এবং সব থেকে পরে রচিত বেদ হল অথর্ব বেদ । ঋকবেদ রচনার সময়কাল আনুমানিক ১৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ।
- ঋগ বেদ রচনায় যারা সাহায্য করেন তারা হলেন কৌশিকি ও ঐতেরেয় । ঋগ বেদে শ্লোকের সংখ্যা ১০২৮ টি
- প্রতিটি বেদে দুটি করে ভাগ আছে - সংহিতা ও ব্রাহ্মণ । সংহিতা অংশ প্রধানত পদ্মে রচিত এবং ব্রাহ্মণ অংশ প্রধানত গদ্মে রচিত ।
- বেদের পরিশিষ্ট রুপে ব্রাহ্মণ অংশের সাথে যুক্ত আছে আরন্যক ও উপনিষদ ।
- ঋক বেদ থেকে আদি বৈদিক যুগের কথা জানা যায় । ও যদু , সাম , অথর্ব এবং বেদান্ত সাহিত্য থেকে পরবর্তী বৈদিক যুগ সম্পর্কে জানা যায় ।
- বেদাঙ্গ বা বেদ অধায়নে সাহায্য কারী শাস্ত্র ৬ টি । যথা - শিক্ষা , কল্প , ব্যাকারন , নিরুক্ত , ছন্দ ও জ্যোতিষ ।
- বেদাঙ্গ গুলিকে সংহিতা বলা হয় । সংহিতা কথার অর্থ সংগ্রহ বা সংকলন ।
- অথর্ব বেদে মন্ত্র ছারাও শুভ ও অশুভ ইন্দ্রজাল এবং চিকিৎসার কথা আছে বলে একে খুব একটা পবিত্র গ্রন্থ বলে মনে করা হত না ।
- কয়েকটি মন্ত্র নিয়ে একটি সূক্ত ও কয়েকটি সূক্ত নিয়ে রচিত হয় একটি মণ্ডল । ঋগবেদে আছে ১০ হাজার ৬০০ টি মন্ত্র , ১০২৮ টি সূক্ত ও ১০ টি মণ্ডল ।
- আনুমানিক ৭০০ - ৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে আর্যরা বর্ণমালার ব্যবহার শেখে ।
- ঋকবেদে ৩৩ জন দেবদেবীর উল্লেখ আছে ।
- গায়ত্রী মন্ত্রটি রচনা করেন আর্যজাতিয় সুদাস রাজার পুরহিত বিশ্বামিত্র । এটির উদ্দেশ্য ছিল আর্যদের অধিকার বিস্তৃত করা । এটি একটি সূর্য বন্দনা ।
- রামায়নে আছে ২৮ হাজার শ্লোক । মহাভারতে আছে ১০২৮ টি শ্লোক ।
- মহাভারতে এক লক্ষ্ কল্প কাহিনী রয়েছে যে কারনে একে শতসহস্র সংহিতা বা জয় সংহিতা বলা হয় ।
- উপনিষদ রয়েছে ১০৮ টি । পুরান আছে ১৮ টি । গিতার অধ্যায় আছে ১৮ টি ।