মেহেরগড় সভ্যতা
ভারতের প্রাচীনতম গ্রামীণ সভ্যতা হল মেহেরগড় সভ্যতা ।
মেহেরগর সভ্যতা নব্য প্রস্তরযুগের সভ্যতা ।এই সভ্যতা সম্পর্কে কিছু
তথ্য.......
১. মেহেরগড় সভ্যতা আনুমানিক ৬০০০ খ্রিস্টপূর্ব আগের সভ্যতা
.
২. ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জাঁ ফ্রাঁন্সোয়া জারিজ বর্তমান
পাকিস্তানের বালুছিস্তানের পশ্চিমে সিন্ধু উপত্যকায় ১৯৭৪ সালে মেহেরগড় সভ্যতার
প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কার করেন ।
৩. মেহেরগড় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নকেন্দ্র হল নৌসেরা,
রানা, ঘুনডাই, কিলিগুল, কাচ্চিবেগ, কুল্লি, প্রভৃতি ।
৪. আধুনিক ঐতিহাসিকদের মতে হরপ্পা সভ্যতা ছিল মেহেরগড়
সভ্যতারই বিকশিত রুপ
৫. মেহেরগড়বাসীরা বাড়ি তৈরির জন্য রোদে শুকানো কাদামাটির ইট
ব্যবহার করত ।
৬. মেহেরগড় অধিবাসীদের জীবিকা ছিল পশুপালন , শিকার কৃষিকাজ
ও ব্যবসাবাণিজ্য । উৎপাদিত কৃষিজ ফসল ছিল – গম, যব, তুলা, খেজুর প্রভৃতি ।
৭. মেহেরগড়বাসীরা
আন্তবানিজ্যের পাশাপাশি বহির্বাণিজ্যের সাথে লিপ্ত ছিল । ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে
এসময় আফগানিস্থান, মেসোপটেমিয়া, ইরানের সাথে বানিজ্যিক যোগাযোগ ছিল ।
৮.মেহেরগড় অধিবাসীরা মৃৎশিল্প,
অলংকার শিল্প, বয়ন শিল্পে পারদর্শী ছিল । পোড়ামাটির নারীমূর্তি, তামার পুতি, আংটি,
ছুরি প্রভৃতির নিদর্শন পাওয়া গেছে ।
৯. মৃতদেহকে সমাধির আগে মৃতদেহে
গেরুয়া মাটি মাখানো হত । এবং মৃতদেহের পাশে মূল্যবান অলংকার সহ ব্যবহার্য
জিনিসপত্র রাখা হত । যেমন পাথর বা ঝিনুকের মালা, হাড়ের আংটি, বৈদূর্য মনি,
নীলকান্ত মনি প্রভৃতি ।
১০. মেহেরগড় সভ্যতা আনুমানিক তিন হাজার
খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়কালে পতন হয়েছিল ।ঐতিহাসিকরা এর পতনের পেছনে ৪ টি
কারনের ওপর জোর দিয়েছেন –