গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রবর্তিত বৌদ্ধ ধর্মের মুল কথা হলো-
বৌদ্ধধর্ম মূলতঃ আর্যসত্য, প্রতীত্যসমুৎপাদ, এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গ এই তিনটি তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
আর্য সত্য চারটি,
১. প্রথম সত্য দুঃখ
২. দ্বিতীয় সত্য সমুদয়,
৩. তৃতীয় সত্য নিরোধ
৪. চতুর্থ আর্য সত্য।
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
এইপথ অসংযত ভোগের পথ নয়, আবার কঠোর তপস্যা বা শারীরিক নির্যাতনের পথও নয়। এ দুটির মধ্যবর্তী মার্গ। তাই এর নাম মধ্যম মার্গ।আটটি অঙ্গ আছে বলে একে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলে। অঙ্গ গুলি হল- সম্যক দৃষ্টি, সম্যক সংকলন, সম্যক বাক্য, সম্যক কর্মান্ত বা কর্ম, সম্যক আজিব জীবিকা, সম্যক ব্যায়াম বা প্রচেষ্টা, সম্যক স্মৃতি ও সম্যক সমাধি।
চারটি আর্যসত্য ও অষ্টাঙ্গিক মার্গের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে জীবের তৃষ্ণা ও অবিদ্যা দূর হয় এবং শেষে পরমপদ নির্বাণ লাভ হয়। বুদ্ধের কাছে নির্বাণ যা বুদ্ধত্বও তাই।
নির্বাণ লাভের চারটি স্তর
১. স্রোতাপন্ন
২. সকৃদাগামী
৩. অনাগামী
৪. অর্হৎ।
যিনিনির্বাণ লাভের সাধনার স্রোতে নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন তিনি স্রোতাপন্ন। যাকে নির্বাণ লাভের জন্য পৃথিবীতে আর একবার মাত্র জন্মগ্রহণ করতে হবে তিনি সকৃদাগামী । এ জন্মে যিনি নির্বাণ লাভ করবেন তিনি অনাগামী। যিনি নির্বাণ লাভ করেছেন তিনি অর্হৎ।
বৌদ্ধ সংঘ
ভিক্ষু দের সংগঠিত ও সুসংহত করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধ সংঘের প্রতিষ্ঠা করেন। সংঘ ত্রিরত্নের একটি রত্ন। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ এই নিয়ে ত্রিরত্ন। সংঘে প্রবেশের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীকে প্রব্রজ্যা নিতে হতো। 15 বৎসরের অনূর্ধ্ব কেউ প্রব্রজ্যা গ্রহণ করতে পারতেন না। প্রব্রজিত কে শ্রমন বলা হত। এই শ্রমনদের নিষ্ঠা সহকারে দশটি বিধি পালন করতে হতো। বৌদ্ধ শাস্ত্রে এ বিধিসমূহ দশশীল নামে পরিচিত। এই দশটি শীল হল-
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
১. প্রাণী হত্যা পরিত্যাগ ।
২.অদও দ্রব্য বর্জন ।
৩. অব্রহ্মচর্য পরিহার ।
৪. মিথ্যা বলা হতে বিরতি ।
৫. সূরা মেরেয় ও মদ বিসর্জন।
এই পাঁচটি শীল উপাসক- উপাসিকা দের অবশ্যপালনীয়। এই পাঁচটি শীল পঞ্চশীল নামে পরিচিত।
৬.বৈকালিন ভোজন পরিত্যাগ
৭. নাচ গান বাজনা কৌতুক আদি বর্জন
৮. মালা সুগন্ধি ও অলংকার পরিহার
৯. সুখকর শয্যা বর্জন ও
১০. সোনা রুপা ও প্রতিগ্রহে নিরাসক্তি।
শ্রমন জীবনসমাপ্ত হলে এবং অন্তত কুড়ি বছর বয়স হলে তাকে উপসম্পদা দেওয়া হতো। উপসম্পদা প্রাপ্ত শ্রমন ভিক্ষু নামে পরিচিত হতেন। ভিক্ষু সংঘের পূর্ণ অধিকার লাভ করতেন। এবং এরা স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াতেন বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য।
প্রথম জীবনে বুদ্ধদেব "গৌতম "এবং "সিদ্ধার্থ" নামে পরিচিত ছিলেন। গৌতম
গোত্রে জন্ম হয় তিনি গৌতম। তার জন্মকালে সকলের আশা পূর্ণ হয়েছিল বলে
তিনি সিদ্ধার্থ। বোধি বা সম্যক জ্ঞান লাভের পর তার বুদ্ধ নামকরণ হয়। সত্য
উপলব্ধি করেছিলেন বলে তিনি Read More........