বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

ভারতীয় গিল্ড বা পেশাদারি সংগঠন


খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতবর্ষে কারিগরি শিল্পে ও বিভিন্ন জীবিকায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে । এইসময় প্রতিষ্ঠিত হয় পেশাদারি সংগঠন বা গিল্ড । এইসময় থেকে বনিক শিল্পী ও কারিগরেরা সংগঠন গঠন করে নিজেদের সুগঠিত ও সংঘবদ্ধ করেন । এই সংগঠন ছিল মালিকদের শ্রমিকদের নয় ।এই সংগঠন গুলিকে সাধারনভাবে 'শ্রেণী' , 'পূগ' , বা 'সংঘ' বলা হত ।


প্রতিটি সংগঠনের একজন করে সভাপতি ছিলেন । তাকে  "প্রমুখ" বা "জ্যেষ্ঠক" বলা হত । বণিক সংগঠনের প্রধানকে "শ্রেষ্ঠী" বলা হত । কখনো কখনো তাকে "মহা শ্রেষ্ঠী" আখ্যা দেওয়া হত । অনেকসময় দুই বা তার অধিক সংগঠন যুক্ত হয়ে সম্মিলিত সংগঠন গঠন করত । সংগঠন গুলি ছিল স্বশাসিত সংস্থা । প্রতিটি সংগঠনের নিজস্ব আইন কানুন ছিল । সরকার সাধারণত শ্রেণীর কাজে হস্তক্ষেপ করত না । সদস্যদের ওপর সংগঠনের অবাধ নিয়ন্ত্রন ছিল । সদস্যদের মধ্যে কনো বিরোধ দেখা দিলে বা কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে তার সমাধান করত সংগঠন । সদস্যদের একতা ও শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া হত । সংগঠন গুলি কখনো কখনো ব্যাংক এর কাজও করত । লোকেরা সুদের বিনিময়ে সংগঠনগুলিতে টাকা গচ্ছিত রাখতেন; সংগঠন গুলি ঐ টাকা ব্যাবসায় খাটাত বা চরা সুদে অন্যকে ধার দিত ।






নতুন লেখা

MOC Test Set - 19

Translate