জৈন ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের তুলনায় অনেক প্রাচীন। বিভিন্ন জৈন সাহিত্যে 24 জন তীর্থঙ্কর বা ধর্মগুরুর
উল্লেখ আছে। প্রথম তীর্থঙ্কর ছিলেন আদিনাথ । 24 তম তীর্থঙ্কর হলেন মহাবীর । 23 তম তীর্থঙ্কর
পার্শ্বনাথ গৌতম বুদ্ধের প্রায় 200 বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। জি ধাতু থেকে জিন পদের উৎপত্তি।
জিন থেকে পরবর্তীতে জৈন কথাটি এসেছে। রাগ , দ্বেষাদি, রিপু যিনি জয় করেন, তিনি জিন বা
সিদ্ধপুরুষ। জিনদের প্রচারিত ধর্ম এই অর্থে জৈন ধর্ম।
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
উত্তর- আদিনাথ
২.পার্শ্বনাথ কত তম তীর্থঙ্কর?
উত্তর- ২৩ তম
৩. সর্বশেষ তীর্থঙ্করের নাম কি?
উত্তর- মহাবীর
৪. জৈন কথাটি কোথা থেকে এসেছে?
উত্তর- জি ধাতু থেকে
৫. জৈন সাহিত্যে সর্বমোট কতজন তীর্থঙ্কর এর কথা বলা হয়েছে?
উত্তর- ২৪ জন
পার্শ্বনাথ এর জীবনী
ভবদেব সূরীর লেখা "পার্শ্বনাথ চরিত" গ্রন্থে তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ এর জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানা যায়।
বারাণসীর এক অভিজাত পরিবারে পার্শ্বনাথের জন্ম হয়েছিল। তার পিতার নাম অশ্বসেন
ও মায়ের নাম বামা। অযোধ্যার রাজকন্যা প্রভাবতীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ৩০ বছর বয়সে তিনি
প্রকৃত জ্ঞান লাভের জন্য তপস্যা শুরু করেন। 84 তম দিনে তার সাধনা পূর্ণ হয়। তিনি কেবল জ্ঞান
লাভ করেন। সুদীর্ঘ 70 বছর ধরে উত্তর ভারতের নানা স্থানে তিনি তার ধর্মমত প্রচার করেন পার্শ্বনাথ
100 বছর বয়সে সম্মেতশিখরে, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলার পরেশনাথ পাহাড় এ তিনি
দেহত্যাগ করেন
পার্শ্বনাথ উপর উপদেশাবলি
পার্শ্বনাথ চতুযাম এর নির্দেশ দিয়েছিলেন -চতুযাম হল চারটি বিধান
অহিংসা এর অর্থ হলো প্রাণী হত্যা না করা
সূনৃত এর অর্থ হলো সত্য কথা বলা
অস্তেয় এর অর্থ হল দান গ্রহণের অধিকার ও চুরি না করা
অপরিগ্রহ এর অর্থ হল আসক্তির নিবৃত্তি
১. কোন গ্রন্থে পার্শ্বনাথ সম্পর্কে জানা যায়?
উত্তর- ভবদেব সূরীর লেখা "পার্শ্বনাথ চরিত" গ্রন্থে তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ এর জীবন বৃত্তান্ত
সম্পর্কে জানা যায়।
২. পার্শ্বনাথ কোথায় দেহত্যাগ করেন?
উত্তর- সম্মেতশিখরে, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলার পরেশনাথ পাহাড় এ
৩. চতুরযাম পালনের নির্দেশ কে দিয়েছিলেন?
উত্তর- পার্শ্বনাথ
৪. চতুরযাম কী?
উত্তর- জৈন ধর্মে অবশ্য পালনিয় চারটি নির্দেশ হল চতুরযাম । এগুলি হলো-
অহিংসা , সূনৃত ,অস্তেয় ,অপরিগ্রহ
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
মহাবীরের জীবনী
পার্শ্ব নাথের মৃত্যুর 250 বছর পর মহাবীরের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন সর্বশেষ তীর্থঙ্কর। মহাবীরের
জন্ম তারিখ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। প্রথম মতে তাঁর জন্ম 599 খ্রিস্টপূর্বাব্দে ও দ্বিতীয় মতটি
হল 539 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। কল্পসূত্র, ভগবতী সূত্র প্রভৃতি জৈন গ্রন্থ মহাবীরের জীবনী বর্ণিত আছে।
বৈশালী উপকণ্ঠে কুন্ড গ্রামে এক Read more
source