জৈন ধর্মের মূল বিষয়
ত্রিরত্ন এর সার্থক অনুশীলন প্রয়োজন। ত্রিরত্ন হল সম্যক দর্শন সম্যক
জ্ঞান ও সম্যক চরিত্র। সম্যক দর্শন অর্থ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস। তীর্থঙ্কররা মুক্তপুরুষ
সম্যক জ্ঞানের আধার তারা। তাদের উপদেশাবলী অধ্যায়ন ও অনুশীলনেই
সম্যক জ্ঞান অর্জিত হয়। সম্যক জ্ঞানের আলোকে জীবন-যাপনের নাম সম্যক
চরিত্র। এছাড়াও পাঁচটি মহাভারতের অনুশীলনের কথা বলা হয়েছে এগুলি হল-
অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, অপরিগ্রহ ও ব্রহ্মচর্য। জৈন ধর্মে স্যাদবাদ ও অনেকান্তবাদ
এর কথা বলা হয়েছে।
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
জৈন সংঘ
পার্শ্ব নাথের আমলে জৈন সংঘের প্রতিষ্ঠিত হলেও মহাবীর তাকে আরও সংগঠিত ও
শক্তিশালী করেন। সংঘ পরিচালনার ভার প্রধান শিস্য বা গনধর দের হাতে তুলে
দেওয়া হয়। প্রতি গনধরের দায়িত্ব নির্দিষ্ট ছিল। জৈনদের নারী ও পুরুষদের পৃথক
সংগঠন ছিল। জৈন সঙ্গে গৃহী ভক্তদের বিশিষ্ট স্থান ছিল।
জৈন সাহিত্য
মহাবীর তার ধর্মোপদেশ লিখে রেখে যাননি। গুরু-শিষ্য পরম্পরায় মুখে মুখে তা
প্রচলিত থাকে। মহাবীরের উপদেশাবলি সম্ভবত "চতুর্দশপূর্ব" নামে এক গ্রন্থে প্রথম
সংকলিত হয়। ভদ্রবাহু রচিত কল্পসূত্র গ্রন্থ থেকেও জৈন ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু
জানা যায়। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে শ্বেতাম্বর শ্রমন এরা গুজরাটের বলভি নগরে সমবেত
হয়ে স্থবির দেবারধি গনির নির্দেশনায় জৈন শাস্ত্র সংকলন করেন এই শাস্ত্র আগাম বা
জৈন সিদ্ধান্ত নামে পরিচিত। এরপর দ্বাদশ অঙ্গ সংকলিত হয়। এই সবকটি গ্রন্থই
অর্ধ মাগধি ভাষায় রচিত।
আমাদের facebook Group এ যুক্ত হতে Click করুন ...
১. ত্রিরত্ন কি?
উত্তর- সম্যক দর্শন, সম্যক জ্ঞান ও সম্যক চরিত্র একত্রে ত্রিরত্ন বলা হয় ।
২. জৈন ধর্মের পাঁচটি মহাব্রতের কথা বলা হয়েছে এগুলো কি কি?
উত্তর- অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, অপরিগ্রহ ও ব্রহ্মচর্য।
৩. জৈনদের ধর্মগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর- দ্বাদশ অঙ্গ
৪. মহাবীরের বাণী প্রথম কোথায় সংকলিত হয়?
উত্তর- "চতুর্দশপূর্ব" নামে এক গ্রন্থে
৫. জৈন ধর্ম গ্রন্থ গুলি কোন ভাষায় রচিত ?
উত্তর- অর্ধ মাগধি ভাষায় রচিত